লজিক লাবু সিরিজ (৬টি বই একত্রে) (হার্ডকভার)
লজিক লাবু সিরিজ (৬টি বই একত্রে) (হার্ডকভার)
৳ ১০৫০   ৳ ৭৮৮
২৫% ছাড়
1 টি Stock এ আছে
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

লজিক লাবু: কিসমতপুর হাইস্কুলে 'দুষ্টের শিরােমণি’ খেতাব পাওয়া ছাত্র লাবু। তার দুষ্টুমিতে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে স্বয়ং ডেপুটি হেডস্যার আনুষ্ঠানিকভাবে লাবুকে এই খেতাবে ভূষিত করেছেন। খেতাবের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লাবুর দুষ্টুমি। লজিক লাবুর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার যৌক্তিক বাক্যালাপ আর তার বুদ্ধির ফাঁদে ফেলে অন্যদের নাকাণী-চোবানি খাওয়ানাে। কখনাে স্কুলের টিচার, কখনাে-বা তার সহপাঠীরা তার চিকন বুদ্ধির শিকার হয়েছে আর জন্ম দিয়েছে দারুণ মজার সব ঘটনার। এইসব মজাদার ঘটনার বিবরণ পাওয়া যাবে। অনবদ্য কিশাের উপন্যাস লজিক লাবুর পাতায় পাতায়।

লজিক লাবু ২: সিন্দুকের সন্ধানে: প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পর লাবুরা ভেবেছিল কয়েকটা দিন মজা করে কাটিয়ে দেবে। কিন্তু কিসের কি! ওদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওদের ইশকুলটাই পরীক্ষার মুখােমুখি পড়ে গেল। বলে কি! ইশকুল আবার পরীক্ষা দেয় নাকি! ব্যাপার অনেকটা সেরকমই। হয় হয় করেও কিসমতপুর হাই ইশকুল সরকারি হচ্ছিল না। হঠাৎ একদিন শিক্ষা অফিস থেকে একটা চিঠি আসে- কিসমতপুর হাই ইশকুলকে সরকারি করা হবে। যদি কিসমতপুর হাই ইশকুল সবার সেরা হয়। কারণ তালিকায় আরও দুটো ইশকুল আছে। শিক্ষা অফিসার এসে সবচেয়ে যােগ্য ইশকুল নির্বাচন করবেন।

চিঠি পেয়ে ইশকুল জুড়ে তােলপাড় শুরু হয়। নেতৃত্বে আছেন নবাব স্যার। তাে, নবাব স্যারের যা স্বভাব, তিনি পুরাে ইশকুল মাথায় তুললেন। ইশকুলে সাজগােজ শুরু হলাে। শুরু হলাে নাচ-গানের মহড়া। কিন্তু শুধু নাচ-গান থাকলেই তাে হবে না। শিক্ষা অফিসারকে এমন কিছু দেখাতে হবে যাতে তার পিলে চমকে যায়। চমকে দিতে নবাব স্যার একটা নাটক লিখে ফেললেন। বাছাই করা কয়েকজনকে নিয়ে শুরু করে দিলেন মহড়া। ঠিক সেই সময়ে একটি অপ্রত্যাশিত খবর! ইশকুলের ক্লাস নাইনের ছাত্রী আসমা, যে কিনা নবাব স্যারের নাটকের মূলচরিত্র তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এইটুকু একটা মেয়ের বিয়ে!

বাল্যবিবাহ ঠেকাতে স্যারেরা গিয়ে আসমার বাবা-মাকে বােঝানাের চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে তারা অনড়। লাবুরা ও ঠিক করল এ বিয়ে হতে দেবে না। যে করেই হােক সহপাঠীর বাল্যবিবাহ তারা ঠেকাবেই। কিন্তু লাবুরা কি পারবে?

লজিক লাবু ৩: বাবুদের বাজিমাত: নবাব স্যারের যা স্বভাব। কিসমতপুর হাইস্কুল সরকারি হবার ঘোষণা আসতেই হৈ চৈ শুরু করে দিলেন। বড় করে স্কুলের নামফলক উন্মোচন করতে হবে। পরিকল্পনার ডালি নিয়ে নবাব স্যার গেলেন হেডস্যারের কাছে। হেডস্যারও তাকে খালি হাতে ফেরালেন না। শুরু হলো অনুষ্ঠানের তোড়জোড়। স্কুল জুড়ে সাজসাজ রব। আর্টিস্ট ডেকে দেওয়ালে লেখা হলো স্কুলের নাম। সে নিয়েও কত কাণ্ড! মজার মজার কাণ্ড করা নবাব স্যারের স্বভাব। ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে অনুষ্ঠানের আয়োজন। এর মধ্যে স্কুলে আসে এক চিঠি। হেডস্যারকে অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। নবাব স্যার হেডস্যারের বদলি ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সঙ্গে আছে লাবুরাও। স্যার লাবুদের বললেন, পরিকল্পনা সাজাতে হবে আবেগ দিয়ে। যাতে বদলিকারীরাও ক্ষেপে না যান আবার হেডস্যারও স্কুলে থাকেন। রেগে গেলে স্কুলের সরকারিকরণ বাতিল হয়ে যেতে পারে। মাথায় শান দিয়ে লাবুরা নেমে পড়ে আইডিয়ার খোঁজে। একসময় তারা পেয়েও যায় দুর্দান্ত এক আইডিয়া।

লজিক লাবু ৪: গুপ্তবাবুর গুপ্তধন: হঠাৎ করে স্কুলে হাসির ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেন হেডস্যার। কারণ পড়াশােনায় ভালো করার জন্য সুস্থ দেহ আর আনন্দিত মন দরকার। সেজন্য প্রয়ােজন পর্যাপ্ত হাসি। সুতরাং ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্যতামূলক হাসির ক্লাস করতে হবে। হেডস্যারের নির্দেশ পেয়ে হাসির বিশ্বকোষ নিয়ে ঝাপিয়ে পরলেন নবাব স্যার। সঙ্গে নিলেন লাবু, নাইমুল, কাদের আর মিন্টকে। ড্রিলের জামাল স্যারও যােগ দিলেন সেই দুলে। কিন্তু বাতের ব্যাথার অজুহাতে গড়িমসি করতে লাগলেন সালেহা ম্যাডাম। কারণ হাসলে তার বুকে চিলিক মারে। স্কুল জুড়ে শুরু হলাে তােড়জোড়। হাসির ক্লাসের সূচনা পর্বকে জাকজমক করতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিলেন নবাব স্যার। একসময় সালেহা মাভামও যোগ দিলেন তাতে। নানা হাসাকর ঘটুনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলল আয়ােজন। এ সময় হঠাৎ বিস্ময়কর এক খবর নিয়ে হাজির হলাে লাবু। স্কুলের ব্যাকরণের শিক্ষক গুপ্তবাবু নাকি গুপ্তধন পেয়েছেন। চারপাশে এই নিয়ে জোড আলােচনা। একজন সাক্ষী ও পাওয়া গেছে। কিন্তু গুপ্তবাবুকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বসে থাকবার পাত্র নন নবাব স্যার। রহস্য উদ্ঘাটনে লাবুদের নিয়ে মাঠে নামলেন তিনি। কারণ গুপ্তধন রাষ্ট্রিয় সম্পদ। মজার মজার সব কাণ্ড-কারখানার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলল গুপ্তধনের রহস্য উদ্ঘাটন অভিযান ওদিকে অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে তারা মুখােমুখি হলাে নতুন এক বিস্ময়ের।

লজিক লাবু ৫: স্বর্ণচুরি রহস্য: কিসমতপুর সরকারি হাই স্কুলে আনন্দের সীমা নেই। চারিদিকে খুশির জোয়ার। কারণ এই শীতের মৌসুমে স্কুল থেকে পিকনিকে যাচ্ছে সবাই। হেডস্যার আর নবাব স্যারের ব্যস্ততার শেষ নেই। হেডস্যারের ব্যক্তিগত পিয়ন বজলুও তাদের দেখাদেখি ভীষণ ব্যস্ত। লাবু আর তার বন্ধুরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পিকনিকের ভেন্যু নির্বাচনে। এই নিয়ে ভােটাভুটিও করতে হবে। স্কুলেই হয়ে যাবে গণতন্ত্রের পাঠ।

কিন্তু হঠাৎ এ কী হলাে? স্কুলের লাইব্রেরি থেকে গােল্ডকাপ উধাও! বিভাগীয় পর্যায়ে ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কিসমতপুর হাইস্কুল। পিকনিক নিয়ে সবার এই ব্যস্ততার সুযােগে চোর এসে সেই গােল্ডকাপটি নিয়ে সরে পড়েছে। টেনশনে হেডস্যার আর নবাব স্যার পাগলপ্রায়। পিকনিকের পরিকল্পনা শিকেয় উঠল । লাবু আর তার বন্ধুদেরও মাথায় হাত। কী হবে এখন?

লজিক লাবু ৬: বিদ্যাসাগরে বুদ্ধির জয়: কিসমতপুর হাই স্কুলে ‘হাসি' ক্লাসের অভাবনীয় সাফল্যে হেডস্যারের উৎসাহ বেড়ে গেছে। আর স্যারের উৎসাহ বাড়া মানে নতুন কোনাে আইডিয়ার ঘােষণা আসা। হলােও তাই। স্কুলে নতুন ক্লাস শুরুর ঘােষণা দিলেন তিনি— ‘ভাবনা ক্লাস’। তাঁর যুক্তি, আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা যেহেতু আগামীর ভবিষ্যত, তাদের ভাবতেও শিখতে হবে। সুতরাং সপ্তাহে একদিন মেডিটেশন ক্লাস বাধ্যতামূলক। হেডস্যারের কাছে যা মেডিটেশন নবাব স্যারের কাছে তা ‘ঝিম’ মারা। নতুন ক্লাসের উদ্বোধন নিয়ে স্কুলে তােলপাড় শুরু করে দিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের নাম দিলেন— ‘ঝিম কনফারেন্স’। সবাই যখন আয়ােজন নিয়ে ব্যস্ত তখনই এক ভােরে স্কুলের দিঘি ‘বিদ্যাসাগরে'র সব মাছ মরে ভেসে উঠল। কে বা কারা পানিতে বিষ মিশিয়ে এই কাজ করেছে! ঝিম কনফারেন্স ফেলে লাবু আর তার বন্ধুরা নেমে পড়ল বিদ্যাসাগর রহস্যের কিনারা করতে। তারা কি পারবে এই রহস্য ভেদ করতে?
এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে খ্যাতিমান ছড়াকার, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক পলাশ মাহবুবের তুমুল জনপ্রিয় সিরিজ ‘লজিক লাবু’র নতুন উপন্যাস 'বিদ্যাসাগরের বুদ্ধির জয়'-তে।

Title : লজিক লাবু সিরিজ (৬টি বই একত্রে)
Author : পলাশ মাহবুব
Publisher : পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
Country : Bangladesh
Language : Bengali

পলাশ মাহবুব লেখালেখি করছেন প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। শুরুটা ছড়া দিয়ে। এরপর গল্প; ছোট-বড় সবার জন্য। উপন্যাস লেখার শুরু তার কিছু পর থেকে। ‘লজিক লাবু’, তার জনপ্রিয় কিশোর সিরিজ। টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখছেন অনেক বছর ধরে। বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় নাট্যকারদের মধ্যে তিনি একজন। রম্য লেখায় পলাশ মাহবুবের আছে নিজস্ব কথনভঙ্গি। সাবলীল ভাষা আর বক্তব্যের তীক্ষ্ণতা তাঁর লেখার সৌন্দর্য। অনুষ্ঠান নির্মাতা হিসেবেও পলাশ মাহবুব একটি অগ্রগণ্য নাম। টেলিভিশনের জন্য দুই হাজারেরও বেশি অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন সম্মানজনক অগ্রণী ব্যাংক-বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ইউনিসেফ মীনা অ্যাওয়ার্ড, এসিআই-আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ আরও কিছু সম্মাননা। নির্মাতা হিসেবে পেয়েছেন নাট্যসভা পদক। পলাশ মাহবুব পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। সাংবাদিকতা আর অনুষ্ঠান নির্মাণের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন চীনের কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। আছে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর অভিজ্ঞতা। পলাশ মাহবুব বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা ডটনেট ও দৈনিক সারাবাংলা’র উপ সম্পাদক। পাশাপাশি সিসিমপুরের গণমাধ্যম পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]