চাকমা (হার্ডকভার)
চাকমা (হার্ডকভার)
৳ ১০০০   ৳ ৮৫০
১৫% ছাড়
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বাংলাদেশের সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলে ৪৫টির অধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। 'মানব বসতির যাদুঘর' নামে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘকাল ধরে ভিন্ন ভাষাভাষী ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানুষেরা বাস করে আসছে। এঁরা হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, স্রো, রাখাইন, চাক, খিয়াং, খুমী, কুকী, বম, পাঙ্খোয়া ও লুসাই। এঁদের মধ্যে চাকমারাই অগ্রগামী এবং এ দেশে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। বাংলাদেশ ছাড়াও চাকমারা ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা ও আসামে চাকমা নামে এবং মিয়ানমারে ভিন্ন নামে পরিচিত। তা হলেও তাঁদের ভাষা-সংস্কৃতি অভিন্ন। চাকমারা মঙ্গোলীয় মানবগোষ্ঠীর কিরাতজাতিভুক্ত শাখা। কোনো কোনো নৃতাত্ত্বিক এঁদেরকে 'লোহিতিক' ও 'তিব্বতীয় ব্রহ্মা' বলে অভিহিত করেছেন। জুমচাষ উৎপাদনের প্রধান অবলম্বন বলে এঁদেরকে 'জুমিয়া'ও বলা হয়। প্রায় এক সহস্র বছর আগে পার্বত্য অঞ্চলে এঁদের আগমন ঘটে বলে কোনো কোনো ইতিহাসবিদ মনে করেন। চাকমাদের অনেকের ধারণা তাঁদের আদি বাসভূমি চম্পকনগর। তবে এই চম্পকনগর কোথায় অবস্থিত তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে। চাকমাদের রয়েছে নিজস্ব কৃষ্টি, ভাষা ও বর্ণমালা। কিন্তু ভাষা-চর্চার প্রসার ঘটছে ধীর গতিতে। লক্ষণীয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মঙ্গোলীয় রক্তধারার ১৩টি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা ও তাঁদের সহোদর নৃগোষ্ঠী তঞ্চঙ্গ্যা বাদে বাকী ১১টি নৃগোষ্ঠীর ভাষা ভোট-ব্রহ্ম শাখাভুক্ত। চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের ভাষা ইন্দো-ইরানীয় বা আর্যশাখাভুক্ত মিশ্রভাষা। যা চট্টগ্রামের বিকৃত বাংলার অনুরূপ। তৎসত্ত্বেও চাকমাদের লোকসাহিত্যের ভাণ্ডার যেমন সমৃদ্ধ তেমনি তাদের লোকসংস্কৃতিও বর্ণাঢ্য। চাকমারা বর্তমানে বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। তথাপি অরণ্য জনপদের নৃগোষ্ঠী হিসেবে তাঁদের প্রাচীন ধর্ম জড়বাদী [Animist]। মূলত প্রাচীন কাল থেকেই এঁরা জড়োপাসক এবং পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণ্যবাদী বর্ণ হিন্দুদের স্বার্থ ও প্রভাবে এঁদের মধ্যে বিকৃতভাবে হিন্দুধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটে। এক পর্যায় চাকমাদের প্রভাবশালী রাণী কালিন্দীর আমলে [১৮৪৪-১৮৭৩] তাঁর রাজ-আদেশে রাতারাতি এঁরা বৌদ্ধত্বে ধর্মান্তরিত হন। তৎসত্ত্বেও তাঁদের প্রাচীন জড়বাদী-ধর্ম ও তৎপরবর্তী হিন্দুধর্মের নানা ধর্মীয় আচার-প্রথা তাঁদের ধর্মাচারে থেকে যায়। মূলত চাকমারা মিশ্র-ধর্মাবলম্বী। তাই এখনো তাঁদের মাঝে প্রাচীন জড়োপাসনার নানা প্রথা-পদ্ধতি এবং বর্ণ হিন্দুদের গ্রহণকৃত আর্যপূর্ব ধর্মাচারেরও নানা আচার-প্রথা তাঁদের মাঝে বিরাজমান রয়েছে। অন্যদিকে নানা রকম লোকবিশ্বাস বা অনক্ষর সমাজের বৈশিষ্ট্য তাঁরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলে।

Title : চাকমা
Author : মুস্তাফা মজিদ
Publisher : জার্নিম্যান বুকস
ISBN : 9789849765035
Edition : 1st Published, 2024
Number of Pages : 400
Country : Bangladesh
Language : Bengali

কবি ও গবেষক মুস্তাফা মজিদ লেখালেখি করেন কৈশোর থেকে (১৯৭০)। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ এবং মাও সে-তুঙ এর চিন্তাধারায় উজ্জীবিত হয়ে কৈশোরেই তিনি গোপনে পূর্ব পাকিস্তানের এ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-এর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন । গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক করেছেন ঢাকাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন থেকে স্নাতক সিম্মান), স্নাতকোত্তর, এম ফিল ও পিএইচ ডি করেছেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জার্মানীতে।
মূলত তিনি কবি ও গবেষক এবং সম্পাদনায় যুক্ত। তার রচিত ও সম্পাদিত প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৫৬। ১০টি কাব্যগ্রন্থ সহ উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থ: বাংলাদেশের রাখাইন’, ‘The Rakhaines' {পিএইচ ডি গবেষণা], ত্রিপুরা জাতি পরিচয়', 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিচয়, চাকমা জাতিসত্তা', আদিবাসী রাখাইন', 'মারমা জাতিসত্তা', বাংলাদেশে মঙ্গোলীয় আদিবাসী’, ‘গারে জাতিসত্তা', 'হাজং জাতিসত্তা', আদিবাসী সংস্কৃতি [১ম ও ২য় খ-, 'লোক প্রশাসনের তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ’, ‘আমলাতন্ত্রের স্বরূপ”, “বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র, রাজনীতিতে সামরিক আমলাতন্ত্র', 'নেতৃত্বের স্বরূপ', বাংলাদেশে বঙ্কিমচন্দ্র', মুক্ত ও মুগ্ধ দৃষ্টির রবীন্দ্র বিতর্ক, শতবর্ষে অক্টোবর বিপ্লব’, ‘অক্টোবর বিপ্লবের তিন কবি' ইত্যাদি। আর ছোটদের জন্য কাব্যগ্রন্থ “স্বাতীর কাছে চিঠি', গল্পগ্রন্থ 'দীপুর স্বপ্নের অরণি ও জীবন থেকে; ‘ছোটদের ৭টি মঞ্চ-নাটক এবং জীবনীগ্রন্থ রূপকথার নায়ক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন' ও বঙ্গবীর ওসমানী।
ড. মুস্তাফা মজিদ ছাত্রাবস্থায় কাজ করেছেন খবরের কাগজে রিপোর্টারের ১৯৭৪-১৯৮৪]। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উপ পরিচালক থেকে মহাব্যবস্থাপক পদে [১৯৮৪-২০১৪] । তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সাহিত্যিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে যুক্ত। যেমন: স্বদেশ চিন্তা সঞ্জ, ছায়ানট জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ লেখক শিবির কচি-কাঁচার মেলা, ঢাকা থিয়েটার, ঢাকা শিশু নাট্যম অন্যতম। বর্তমানে তিনি বিজ্ঞান-সাহিত্য-সংস্কৃতির ত্রৈমাসিক ‘অনীক'-এর সম্পাদক ও সমাজ সন্দর্শন কেন্দ্র'-এর সভাপতি।
এছাড়া তিনি নিজ গ্রাম পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালীতে স্ব-উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য পরী পাঠাগার, সংগীত ও বিজ্ঞান বিদ্যাপীঠ' নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন ।
জন্ম ১৪ এপ্রিল ১৯৫৩ । ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন, জার্মানী, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]