হাদীছ শরী'আতের স্বতন্ত্র দলীল (পেপারব্যাক)
হাদীছ শরী'আতের স্বতন্ত্র দলীল (পেপারব্যাক)
৳ ৪৫
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হ’ল এটি সুস্পষ্ট দলীলের উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্ম। কোন অস্পষ্টতা বা সংশয়ের অবকাশ এতে নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে এমন একটি দ্বীন বা শরী‘আত রেখে যাচ্ছি, যার রাত তার দিনের মতই উজ্জ্বল। আমার পরে একান্ত ধ্বংসকামী ব্যতীত এই দ্বীন ছেড়ে কেউই বক্রপথ অবলম্বন করবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৪৩)। আর সুস্পষ্ট দলীল বা শরী‘আতের মূল ভিত্তি হ’ল কুরআন এবং হাদীছ, যে দু’টির অনুসরণ মুসলিম উম্মাহর জন্য অপরিহার্য। বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতদিন তোমরা এ দু’টি বস্ত্তকে অাঁকড়ে ধরে থাকবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। এক. আল্লাহর কিতাব এবং দুই. রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাহ (মুওয়াত্ত্বা হা/৩; মিশকাত হা/১৮৬)। যিনি নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবী করবেন, তার জন্য অপরিহার্য কর্তব্য হ’ল কুরআন ও হাদীছকে শিরোধার্য হিসাবে গ্রহণ করা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে এতদুভয়ের অনুসরণ নিশ্চিত করা। যদি কোন মুসলমান নীতিগতভাবে এই বিষয়টি স্বীকার না করে, তবে নিঃসন্দেহে সে পথভ্রষ্ট হবে এবং ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোন দ্বিমত নেই।

Title : হাদীছ শরী'আতের স্বতন্ত্র দলীল
Author : মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী
Publisher : হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
Edition : 1st Published, 2019
Number of Pages : 105
Country : Bangladesh
Language : Bengali

আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) আধুনিক যুগের একজন স্বনামধন্য আলেম। তাঁর জন্ম ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ আলবেনিয়ায়। ১৯১৪ সালে আলবেনিয়ার রাজধানী স্কোডারে (বর্তমান নাম তিরানা) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন আলবেনিয়ার একজন বিজ্ঞ আলেম। পারিবারিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও দ্বীনদারী ও জ্ঞানার্জনে তাঁরা ছিলেন সুখ্যাতিসম্পন্ন ও সমৃদ্ধ। আলবেনিয়ায় নারীদের পর্দা নিষিদ্ধ করার পর নাসিরুদ্দীন আলবানীর পরিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে চলে আসেন। দামেস্কে ‘স্কুল অব এইড চ্যারিটি’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাপর্ব শেষ হয়। এরপর প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে তাঁর পিতা তাকে স্বতন্ত্র পাঠ্যসূচী তৈরি করে দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই তিনি আল-কুরানুল কারীম, নাহূ, সরফ, তাজবীদ এবং হানাফী ফিকাহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে থাকেন ও একইসাথে কোরআনের হিফযও সমাপ্ত করেন। ইসলামী শাস্ত্রে সুপন্ডিত এই আলেম ঘড়ি মেরামতের কাজকে পেশা হিসেবে নেন। এর অন্যতম কারণ ছিল জ্ঞানার্জন ও গবেষণার জন্য কিছু সময় বের করে নেওয়া। নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো সিরিয়ায় তাওহীদ ও সুন্নাহর দিকে দাওয়াত এবং এর পরবর্তী ঘটনাদি। এই কারণে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে এবং তাকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাঁর এই মতবাদের সাথে দামেস্কের প্রসিদ্ধ আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করায় তিনি এগিয়ে যেতে উৎসাহ পান। শাইখ আলবানী দামেস্ক, মিশর ও সিরিয়ার বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার প্রস্তাব পান। তবে গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি যোগ দেননি। তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবেও মনোনীত হন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমগ্র, গবেষণাপত্র ও বক্তব্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়েছে এবং ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের কাছে সমাদর লাভ করেছে। তিনি কুয়েত, আরব আমিরাত ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে বক্তা হিসেবে ভ্রমণ করেছেন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমূহ হলো ‘আত-তারঘিব ওয়া আত-তারহিব (চার খণ্ড)’, ‘আত-তাসফিয়াহ ওয়া আত-তারবিয়াহ’,’সহীহ ওয়া যাই’ফ সুনান আত-তিরমিযী (চার খণ্ড)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা এক শতাধিক। হাদীস ও ফিকহ শাস্ত্রে পারদর্শী এই আলেম ১৯৯৯ সালে বাদশাহ ফয়সাল পুরষ্কারে ভূষিত হন। একই বছর জর্ডানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]