ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার শুভংকরের ফাঁকি (হার্ডকভার)
ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার শুভংকরের ফাঁকি (হার্ডকভার)
৳ ২২০   ৳ ১৮৭
১৫% ছাড়
2 টি Stock এ আছে
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

সময়ের পরিক্রমায় একের পর এক নতুন নতুন কার্যক্রম পৃথিবীতে আসে। ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থা তার একটি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকিং-এর নামে অনেক সন্দেহজনক লেনদেন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। অথচ ব্যাংকিং করার জন্য দ্বীনের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া কাম্য হতে পারে না। বরং দ্বীনকে পুরোপুরি গ্রহণ করতে হলে ক্ষেত্র বিশেষে দুনিয়ার কিছু অংশ ছেড়ে দিতে হবে। তাই হালাল-হারাম মিশ্রিত ইসলামি ব্যাংকিংকে নির্দ্বিধায় গ্রহণ করা ইসলামি দর্শনের পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। তাই সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিপরীতে প্রকৃত ইসলামি ফাইন্যান্সিং শরিয়াহ সম্মত পদ্ধতি যথাযথভাবে সমাজে প্রচলন করতে হবে এবং সম্ভাব্য সকল পন্থায় সুদকে পরিত্যাগ করে হালাল পদ্ধতি গ্রহণ এবং ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।যদিও ইসলামি ব্যাংকের প্রচলিত মুরাবাহা বিনিয়োগ পদ্ধতি কঠোরভাবে নিয়ম-কানুন অনুসরণ সাপেক্ষে হালাল, তবে তা যে উত্তম পদ্ধতি নয় এ বিষয়ে সকল স্কুল অব থটের ইসলামি চিন্তাবিদ একমত। সমকালীন ইসলামি অর্থনীতিবীদ এবং ইসলামি ব্যাংকিং-এর অন্যতম দিকপাল বিচারপতি মাওলানা তাকি ওসমানী সাহেবের লেখাতেও এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। বর্তমানে প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম যেভাবে চলছে তা পর্যালোচনা করলে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে যে অনেক ইসলামি ব্যাংক পণ্য ক্রয়ের নাম করে কৌশলে গ্রাহকদেরকে সরাসরি অর্থ প্রদান করছে। ফলে সুদি ব্যাংকব্যবস্থার সাথে ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার মৌলিক পার্থক্য আছে কিনা সেই ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে; বিশেষ করে মুরাবাহা, বায় মুয়াজ্জাল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। সকল মহলে আরেকটি প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে যে, বাংলাদেশে যেসব ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং করছে, সেগুলো সুদের বিপরীত ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য করছে কিনা? তার অন্যতম প্রধান একটি কারণ হলো উক্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের অনেকেই সুদি ব্যাংকগুলোর সাথে স্বাচ্ছন্দে লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে এই প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া স্বাভাবিক যে ইসলামের দর্শন প্রতিষ্ঠা করার তুলনায় পুঁজি বৃদ্ধি করার প্রবণতা ও গুরুত্বই তাদের কাছে অগ্রগণ্য। বর্তমানে সিটি ব্যাংক, এইচএসবিসিএবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড -এর মালিকপক্ষ অমুসলিম হয়েও ইসলামি ব্যাংকিং করছে! তার কারণও হচ্ছে মূলত পুঁজি বৃদ্ধি। প্রকৃতপক্ষে ইসলামি ব্যাংকিং সেক্টর যাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাদের একাংশও ইসলামি ফাইন্যান্স সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না। এমনকি ইসলামি আদর্শ বাস্তবায়নও তাদের লক্ষ্য নয়। নিছক পুঁজিবৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের প্রবেশ। এভাবে গণহারে ইসলামি ব্যাংকিং খাতে পুঁজিপতিদের এসে পুঁজি বৃদ্ধি করা ইসলামি অর্থনীতির মূল চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়; যেমন সংগতিপূর্ণ নয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে গুটিকতেক বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীকে সহজ শর্তে এবং কম মুনাফায় বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীদেরকে সুবিধা বঞ্চিত করা। তাই ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার যেসব ত্রুটি বিচ্যুতির দাবি আসছে তা আমলে নেওয়া সময়ের অপরিহার্য দাবি। অন্যথায় সমাজে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে তা নিরসন করা খুব একটা সহজ হবে না।

Title : ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার শুভংকরের ফাঁকি
Author : মোহাইমিন পাটোয়ারী
Publisher : ঐতিহ্য
ISBN : 9789847768861
Edition : 2nd Print, 2024
Number of Pages : 96
Country : Bangladesh
Language : Bengali

মোহাইমিন পাটোয়ারী বর্তমানে বাংলাদেশের একটি কনসালটেন্সি ফার্মে অর্থনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘চার্টার্ড ফাইনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট' প্রোগ্রামে যোগ দেন। অর্থনীতি এবং ফাইনান্সের পাশাপাশি গণিতের প্রতিও রয়েছে তার তীব্র ঝোঁক। সিএফএ অধ্যয়নকালেই তিনি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে দ্বিতীয় স্নাতক প্রোগ্রামের ছাত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। সেখান থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক পর্যায়ের গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের সেরা দশে অবস্থান করার পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৭ সালে তিনি সবচেয়ে কম সময়ে (তিন বছরে) সিএফএ ডিগ্রিও সম্পন্ন করেন। গণিতে স্নাতক সম্পন্ন করার আগেই নরওয়েতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য তার ডাক পড়ে। পরবর্তীকালে ‘নরওয়েজিয়ান স্কুল অব ইকনমিক্স' থেকে দ্বৈত মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য তাকে বৃত্তি প্রদানপূর্বক জার্মানির স্বনামধন্য ‘মানহাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে দুটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম শেষ করে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি সরল বাংলায় সবার জন্য অর্থনীতির বই লিখে যাচ্ছেন। তার প্রকাশিত বই— 'ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য’ এবং ‘সুদ হারাম কর্জে হাসানা সমাধান' ইতোমধ্যেই বেস্টসেলার খেতাব অর্জন করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, ভ্রমণ, এবং ভাষা শিক্ষার জগতেও তিনি একজন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব। ২০১৮ সালে চাইনিজ ব্রিজ কম্পিটিশনে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থানসহ খেলাধুলার জগতে রয়েছে তার একাধিক পুরস্কার। বই লেখার পাশাপাশি সংবাদপত্রেও তিনি কলাম লিখেন। তার সরল ভাষায় এবং গল্পের ভঙ্গিমায় লেখাগুলো ইতোমধ্যেই পাঠকদের মন কেড়েছে।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]