সরকারি নীতি পরিচিতি (হার্ডকভার)

বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের একটি কোর্স হিসেবে 'সরকারী নীতি' অধ্যয়ন করানো হচ্ছে। 'রাজনৈতিক ব্যবস্থা'র একটি অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে 'সরকারী নীতি', ইংরেজিতে যা 'পাবলিক পলিসি' বা কখনো কখনো শুধু 'পলিসি' হিসেবে পরিচয় করানো হয়। 'পলিসি' বা 'নীতি'র 'মাইক্রো' ও 'ম্যাক্রো' সব পর্যায়েই 'পলিসি' বা 'নীতি'র উপস্থিতি অনস্বীকার্য। তবে একটি রাষ্ট্রের সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনার নিমিত্তে সেই সরকার যা 'করা' বা 'না করার' জন্য পছন্দ করে তাই সরকারি নীতি হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। 'অর্থনৈতিক মন্দা', 'দারিদ্র্য নিরসন', 'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ', 'উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান সংরক্ষণ', 'দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ', 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সমস্যার সমাধান', 'পরিবেশ সংরক্ষণ', 'যানজট নিয়ন্ত্রণ', 'দুর্নীতি প্রতিরোধ', 'মানবাধিকার সংরক্ষণ', 'নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ', 'নারীর ক্ষমতায়ন', 'শিশু শ্রম নিরোধ', 'পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ', 'সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণ', 'বাণিজ্য উদারীকরণ', 'মুদ্রাস্ফীতি রোধ', 'সন্ত্রাস মোকাবেলা', 'বৈদেশিক নীতি', 'শিক্ষা নীতি', ও 'স্বাস্থ্য নীতি' প্রভৃতিসহ আরও অনেক অনেক ধরনের সমসাময়িক ইস্যুর ব্যাপারে আমরা সরকারের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত আশা করি। বলা বাহুল্য এইসব ব্যাপারে বা অন্য যেকোনো ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রকৃতপক্ষে নীতি প্রণয়নের নামান্তর। তবে একটি একাডেমিক কোর্স হিসেবে 'সরকারী নীতি' তুলনামূলকভাবে সাম্প্রতিক সংযোজন। বলা হয়ে থাকে ১৯২৯ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে 'অর্থনৈতিক মহামন্দা' দেখা দিয়েছিল তার জন্য সেসব দেশের সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারে সে সম্পর্কে পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের উপস্থাপনা থেকে পরবর্তীকালে ১৯৬০-এর দিক থেকে একাডেমিক বিষয় হিসেবে 'সরকারী নীতি'র উদ্ভব ঘটেছে। বাংলাদেশকেও সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করার জন্য 'সরকারী নীতি' সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়া খুবই প্রয়োজনীয়। এই প্রয়োজন কিছুটা হলেও 'সরকারী নীতি পরিচিতি' শীর্ষক গ্রন্থটি দ্বারা পূরণ হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এটি সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস।