৳ ৫৮০ ৳ ৪৩৫
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
কৃষি সভ্যতা এবং ধর্ম বিশেষভাবে সম্পর্কিত। ভারতবর্ষে কৃষি সভ্যতার বয়স প্রায় নয় হাজার বছর। বোলান গিরিপথের ঠিক নিচে (পাকিস্তানের বালুচিস্তানের) মেহরগড়ে একদল মানুষ বসতি গড়ে তুলে কৃষি সভ্যতার সূচনা করে। সেই হিসেবে ভারতবর্ষে ধর্মজীবন নয় হাজার বছরের বেশি নয়। বাংলায় ধর্মজীবনের সূচনা আরও পরে।
বাংলায় লোকজ ধর্ম এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মিথস্ক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠা পায় বাঙালির ধর্মজীবন। বহু জাতি উপজাতি গোষ্ঠী ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সমন্বয়ে হাজার বছরের বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে। হাজার বছরে বাংলাদেশে বহু মত ও পথের পরিবর্তন হয়েছে। বাঙালির ধর্মজীবন বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বাংলাদেশে অসংখ্য দেব-দেবীর পূজা হতো।
দেব-দেবীগুলো কখনো এক থাকেনি। তাদের রূপান্তর হয়েছে।
Title | : | বাংলার ধর্ম ও ধর্মজীবন |
Author | : | মমতাজুর রহমান তরফদার |
Publisher | : | গ্রন্থিক প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849855798 |
Edition | : | 1st Published, 2024 |
Number of Pages | : | 292 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
মমতাজুর রহমান তরফদার (১ আগস্ট ১৯২৮ – ৩১ জুলাই ১৯৯৭) ছিলেন একজন বাংলাদেশী পণ্ডিত এবং ইতিহাসবিদ। তিনি সাহিত্য, ধর্ম ও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ ছাড়াও সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদ, আর্থসামাজিক ইতিহাস ও ইতিহাস চর্চার সমস্যা নিয়ে একাধিক রচনা লিখেছেন।
তিনি ব্রিটেনের নুফিল্ড ফাউন্ডেশন (১৯৭২-১৯৭৪), আমেরিকার ডারহামস্থ ডিউক ইউনিভার্সিটি (১৯৯৬) এবং বাংলা একাডেমি (১৯৯৭) ও বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের (১৯৯৭) ফেলোশিপ লাভ করেন।
ইতিহাসবিদ হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।
মমতাজুর রহমান তরফদার ১৯৫২ সালে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজে প্রভাসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে অধ্যাপনা করেছেন মৃত্যু পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উচ্চতর মানব বিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের’ তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ব্রিটেনের নুফিল্ড ফাউন্ডেশন (১৯৭২-১৯৭৪), আমেরিকার ডারহামস্থ ডিউক ইউনিভার্সিটি (১৯৯৬) এবং ঢাকাস্থ বাংলা একাডেমি (১৯৯৭) ও বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের (১৯৯৭) ফেলোশিপ লাভ করেন।
ইতিহাসবিদ হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।
তিনি সাহিত্য, ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ লিখেছেন। সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদ, আর্থসামাজিক ইতিহাস ও ইতিহাস চর্চার সমস্যা নিয়েও নিয়মিত লিখতেন। তিনি কবিতা লেখার পাশাপাশি বাংলা রোমান্টিক কাব্যের ঠিকুজিও অনুসন্ধান করেছেন। তিনি হোসেন শাহী রাজবংশ সম্পর্কে লিখেছেন. তিনি হিন্দি ও বাংলা মধ্যযুগীয় কবিতার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেন। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে প্রতিফলিত বাঙালি মুসলমানের সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রবন্ধে তিনি বাংলায় ইসলামের আগমন এবং জনগণের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে লিখেছেন। তিনি ছিলেন কট্টর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। তিনি বিশ্বাস করতেন ইতিহাসকে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভাগ করা উচিত। তিনি তার সমসাময়িকদের বিরুদ্ধে ছিলেন যারা ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের ধর্মের দ্বারা যুগকে ভাগ করেছেন, যেমন খ্রিস্টান যুগ, মুসলিম যুগ, হিন্দু যুগ ইত্যাদি।
If you found any incorrect information please report us