৳ ৩৫০ ৳ ২৯৮
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
১৯৮৫ সালে একদিন লক্ষ্মীবাজারের শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাসিন্দা যুবক আব্দুল মজিদ রায়সাহেব বাজারে যাওয়ার পথে কারকুন বাড়ি লেন থেকে বের হয়ে নবাবপুর রোডে উঠলে তার ডান পায়ের স্পঞ্জের স্যান্ডেলের ফিতে ফট করে ছিঁড়ে যায়। এভাবে এই কাহিনির শুরু। ৬২ পৃষ্ঠা পরে কাহিনির শেষে দেখা যায়, আব্দুল মজিদ দৈনিক ইত্তেফাকে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে তার বাড়িটি বিক্রি করে লক্ষ্মীবাজার থেকে বসত উঠিয়ে চলে যায়, ফলে তার অস্তিত্বই যেন মুছে যায়। কিন্তু শহীদুল জহির এইটুকু পরিসরে ফুটিয়ে তুলেছেন একাত্তরের নয় মাসে ঢাকা শহরের একটি মহল্লার সমগ্র জীবন। তখন কী ঘটেছিল, তারপর দেশ স্বাধীন হওয়ার দেড় দশক না পেরোতেই আব্দুল মজিদকে কেন তার বসতবাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে যেতে হলো, এই নিদারুণ প্রশ্নের মধ্যে নিহিত রয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির এক নিষ্করুণ বাস্তবতা।
সোনায় মোড়ানো হাতের কথাশিল্পী শহীদুল জহিরের এই উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যে এক অভিনব সংযোজন । বাংলা আখ্যানগদ্যের এমন অপূর্ব রূপ ও ভঙ্গি এর আগে তো ছিলই না, এখনও বিরল।
Title | : | সে রাতে পূর্ণিমা ছিল |
Author | : | শহীদুল জহির |
Publisher | : | মাওলা ব্রাদার্স |
ISBN | : | 9789849452233 |
Edition | : | 1st Published, 2023 |
Number of Pages | : | 143 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
শহীদুল জহির (১৯৫৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার নারিন্দার ৩৬ ভূতের গলিতে (ভজ হরি সাহা স্ট্রিট) জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার নাম ছিল মোহাম্মদ শহীদুল হক। তার পিতা এ কে নুরুল হক ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা ও মা ছিলেন গৃহিনী। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাশিল গ্রামে। তার দাদা জহিরউদ্দিন (সম্ভবত তিনি তার জহির নামটি তার দাদার কাছ থেকে নিয়েছিলেন) ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও তার দাদী জিন্নাতুন নেসা। তার পিতার শৈশবেই তারা মারা যান। তার নানা ছিলেন সিরাজগঞ্জের আমলাপাড়ার আজিমুদ্দিন আহমেদ ও নানি হামিদা বেগম, যাদের কাছে তিনি প্রায়ই বেড়াতে যেতেন। এই জায়গাগুলি এবং সাতক্ষীরার ফুলবাড়ীয়া যেখানে তিনি প্রায়ই বেড়াতেন, তার মনে গভীর ছাপ রেখে যায় এবং পরবর্তীতে তার সাহিত্যকর্মে এই জায়গাগুলির উল্লেখ পাওয়া যায়। শহীদুল জহির তার স্কুলজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকার ৩৬ রাঙ্কিন স্ট্রিটের সিলভারডেল কেজি স্কুলে, পরবর্তীতে ঢাকা, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ, সাতকানিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে পড়েছেন। সাতকানিয়া মডেল হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও বারমিংহাম ইউনিভার্সিটিতেও পড়ালেখা করেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে সহকারী সচিব পদে যোগ দেন। ২০০৮ এ তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে কাজ করে গেছেন। শহীদুল জহির ছিলেন চিরকুমার এবং প্রায়ই তাকে এব্যাপারে প্রশ্ন শুনতে হত। কথা ম্যাগাজিনের সম্পাদক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে তিনি এটি ব্যাখ্যা করতে অক্ষম , "আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না, এটা এমনিতেই ঘটে গেছে" তার চার ভাই ও চার বোন ছিল। তার বাবা ১৯৯০ এ মারা যান ও তার মা ঢাকায় ভাইবোনদের সাথে থাকেন। তিনি কম কথা বলতেন এবং অন্তর্মুখী ছিলেন। তার সাথে বন্ধুত্ব করা কঠিন ছিল তবে তিনি অনেক বন্ধুসুলভ ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হসপিটালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
If you found any incorrect information please report us