৳ ৫০০ ৳ ৪২৫
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
৬০ বছর পূর্ব থেকে মৎস্য, চিংড়ি, শামুক, ঝিনুক, শৈবাল ইত্যাদি চাষের দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে এবং এখনো তা অব্যাহত আছে; কিন্তু ১৯৮০ সাল থেকে প্রাকৃতিক উৎস হতে আহরিত মৎস্য সম্পদের পরিমাণ স্থির আছে। ১৯৭০ সালে সমগ্র বিশ্বে উৎপাদিত মৎস্য সম্পদের মধ্যে চাষক্ষেত্রের অবদান ছিল মাত্র ৩.৯% এবং তা ২০০৬ সালে ৩৬% উপনীত হয়েছে। এ উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সর্বাধিক নিরাপদ মৎস্য প্রোটিন ভক্ষণের পরিমাণও বেড়েছে। ১৯৭০ সালে একজন মানুষ বাৎসরিক গড়ে ০.৭ কেজি মৎস্য ভক্ষণ করত এবং ২০০৬ সালে এর পরিমাণ ৭.৮ কেজিতে উপনীত হয়েছে। ১৯৫০ সালে বিশ্বে চাষক্ষেত্র থেকে মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্যের উৎপাদন ছিল মাত্র ১ মিলিয়ন মেট্রিকটন। ২০০৬ সালে এ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৫১.৭ মিলিয়ন মেট্রিকটনে উন্নীত হয়েছে (এফ.এ.ও. ২০০৮)। তবে চাষ থেকে প্রাপ্ত জলজ উদ্ভিদের পরিমাণ এ উৎপাদনে যোগ করা হলে মোট উৎপাদনের পরিমাণ ৬৬.৭ মিলিয়ন মেট্রিকটনে উপনীত হয়। এ উৎপাদন ২০০৬ সালে পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত মৎস্য সম্পদের ৪৭%। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে, পৃথিবীতে চাষক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত মোট মৎস্য সম্পদের মধ্যে ৬৬.৭% একমাত্র চীন দেশে উৎপাদিত হয়েছে। বাকি ২২% এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং ১০.৫% বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের চাষক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত। চীন দেশে উৎপাদিত মৎস্য সম্পদের ৯০% চাষক্ষেত্রের অবদান। এদিকে সমগ্র বিশ্বে মৎস্য সম্পদ (উদ্ভিদ ব্যতীত) থেকে যে আয় হয়, সে আয়ের মধ্যে চীন দেশের অবদান ৪৮.৮%, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮.৩% এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ২৩%। পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত জলজ উদ্ভিদের মধ্যে ৭২% চীন দেশে উৎপাদিত হয়।
Title | : | বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ |
Author | : | ম. কবির আহমেদ |
Publisher | : | প্রান্ত প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849434627 |
Edition | : | 1st Published, 2021 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
জন্ম: ০১ এপ্রিল ১৯৫৪ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলাস্থ গল্লাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন: চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও পরবর্তীতে জীববিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করে চট্টগ্রাম ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামুদ্রিক জীববিদ্যায় এম.এসসি. ডিগ্রী লাভ করেন। এম.এসসি-তে তিনি গলদা চিংড়ির পোনা প্রতিপালনের উপর থিসিস করেন। পরবর্তীকালে লেখক কেনিয়াতে মৎস্য গবেষণা পদ্ধতি ও ইন্দোনেশিয়াতে চিংড়ি চাষের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়স্থ সামুদ্রিক জীববিদ্যা বিভাগে চিংড়ির পোনার প্রতিপালন ও পুষ্টির উপর একটি ব্যতিক্রমধর্মী গবেষণা চালিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি থাইল্যান্ডে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা প্রতিপালনের উপর প্রায় আড়াই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ লাভ করেন। কর্মজীবন: শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে প্রায় ২ বছর যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের একটি গবেষণা প্রকল্পে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কর্ণফুলী নদীর মোহনার হাইড্রো-বায়োলজির উপর গবেষণা করেন। ১৯৭৮ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে গবেষক হিসেবে যোগদান করে ১৯৮৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত চিংড়ির উপর কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণা কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি গলদা চিংড়ির চাষ, রুইজাতীয় মৎস্য ও মাগুরের প্রজননের উপর কাজ করেছেন।
If you found any incorrect information please report us