চেতনার দাসত্ব (হার্ডকভার)
চেতনার দাসত্ব (হার্ডকভার)
৳ ২০০   ৳ ১৭০
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

১০% নিশ্চিত ছাড় এবং ডেলিভারি একদম ফ্রি !!  মাত্র ১০০০ বা তার বেশি টাকার পাঠ্যবই ও অনুশীলনমূলক বই -এর জন্য প্রযোজ্য। কুপন কোড: ACADEMIC ব্যবহার করলেই 

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি। কুপন কোড: KHATA

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয় কেদারনাথ পাণ্ডে। ১৮৯৩-এর ৯ এপ্রিল তৎকালীন যুক্ত প্রদেশের আজমগড়ের পান্ধা গ্রামে মামাবাড়িতে জন্ম হয় কেদারনাথ পাণ্ডের। কানিলা চকরপানুর গ্রামের শাক্ত ব্রাহ্মণ গোবর্ধন পাণ্ডে ছিলেন তাঁর বাবা। কেদারনাথের যখন ১১ বছর বয়স, তখন নিকটবর্তী গ্রামের পাঁচ বছরের মেয়ে সন্তোষীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ে, না পুতুল খেলা! প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র কেদারনাথ নিজেই জানতেন না, সন্তোষীর তো কথাই নেই। একদিনও ঘর করেননি বউয়ের সঙ্গে, তবু সেই বিয়েই তাঁকে ১০ বছর বয়সে ঘরছাড়া করল। 
পালিয়ে চলে এলেন নালন্দায়।পালি ভাষা থেকে অনেকগুলো বৌদ্ধ শাস্ত্রগ্রন্থের অনুবাদ করেছেন রাহুল, যার মধ্যে বসুবন্ধু রচিত ‘অভিধর্ম কোষ’, ‘খুদ্দক পাঠ’, ‘গুনপ্রভ রচিত ‘বিনয় সূত্র’, ‘মহাপরিনির্বানসূত্র’ অন্যতম। পালি ভাষা তিনি পড়তে পারতেন জলের মতো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 
শিখেছিলেন উর্দু ও সংস্কৃত। প্রথাগত শিক্ষাজীবনের সেখানেই ইতি টানলেও নিজের উদ্যোগে পালি ছাড়াও শিখেছেন হিন্দি, বাংলা, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, তিব্বতি, রুশ, সিংহলি ভাষা। বিহারে থাকা ও রাজনীতি করার সময়ে ভোজপুরী ভাষা আত্মস্থ করেছিলেন এবং পরে এই ভাষায় জাপানিয়া রাছছ, ই হামার লড়াই, দেশ রচ্ছক-এর মতো আটটি নাটকও লিখেছিলেন। এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় যাওয়াও তাঁর অনবরত জ্ঞানান্বেষণের নিদর্শন। পালি ভাষা থেকে অনেকগুলি বৌদ্ধ শাস্ত্রগ্রন্থের অনুবাদ করেছেন রাহুল সাংকৃত্যায়ন, যার মধ্যে বসুবন্ধু রচিত ‘অভিধর্ম কোষ’, ‘খুদ্দক পাঠ’, ‘গুনপ্রভ রচিত ‘বিনয় সূত্র’, ‘মহাপরিনির্বানসূত্র’ অন্যতম। পালি ভাষা তিনি পড়তে পারতেন জলের মতো। 
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখেছিলেন উর্দু ও সংস্কৃত। প্রথাগত শিক্ষাজীবনের সেখানেই ইতি টানলেও নিজের উদ্যোগে পালি ছাড়াও শিখেছেন হিন্দি, বাংলা, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, তিব্বতি, রুশ, সিংহলি ভাষা। বিহারে থাকা ও রাজনীতি করার সময়ে ভোজপুরী ভাষা আত্মস্থ করেছিলেন এবং পরে এই ভাষায় জাপানিয়া রাছছ, ই হামার লড়াই, দেশ রচ্ছক-এর মতো আটটি নাটকও লিখেছিলেন। এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় যাওয়াও তাঁর অনবরত জ্ঞানান্বেষণের নিদর্শন। তার ৭০ বছরের জীবনে মাত্র ১০টি বছর কেটেছে তাঁর পৈতৃক ভিটেয়। 
বাকি ৬০ বছরের মধ্যে দেশ ও বিদেশ ভ্রমণের কেটেছ ৪৫ বছর। নেহেরু ফিরে আসার পর রাহুল বই খুলে হেসে ফেলেন। বইয়ের কিছু কিছু পাতার ভেতরে এক’শ টাকার নোট সযত্নে রাখা। পাণ্ডেত নেহেরুও সরাসরি আর্থিক সাহায্য করার প্রস্তাব দিতে সাহস পাননি। তাই, ১৯৬৩-তে রাহুলকে পদ্মভ‚ষণ-এর প্রস্তাব করে যান। পদ্মভ‚ষণ সম্মান পাওয়ার আগেই গুরুতর অসুস্থ হন রাহুল। তাঁকে নিয়ে আসা হয় দার্জিলিংয়ের কাছারি রোডে রাহুল নিবাসে। পদ্মভ‚ষণ গ্রহণ করার কিছুদিন পর, ১৪ এপ্রিল মারা যান রাহুল।

Title : চেতনার দাসত্ব
Author : রাহুল সাংকৃত্যায়ন
Publisher : বাংলাপ্রকাশ
ISBN : 9789844272774
Edition : 1st Published, 2024
Number of Pages : 112
Country : Bangladesh
Language : Bengali

রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর জন্ম ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে সনাতন হিন্দু ভূমিহার ব্রাহ্মণ পরিবারে। জন্মস্থান উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম। তাঁর আসল নাম ছিল কেদারনাথ পাণ্ডে। ছোটোবেলাতেই তিনি মাকে হারান। তাঁর পিতা গোবর্ধন পান্ডে ছিলেন একজন কৃষক। বাল্য কালে তিনি একটি গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিলেন। আর এটিই ছিলো তাঁর জীবনে একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। অষ্টম শ্রেণী অবধি অধ্যয়ন করেছিলেন। এখানে তিনি উর্দু ও সংস্কৃতের উপর প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বহু ভাষায় শিক্ষা করেছিলেন যথা : হিন্দি, উর্দু, বাংলা, পালি, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, তিব্বতি ও রুশ। পুরস্কার তালিকা পদ্মভূষণ (১৯৬৩) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৫৮) ব্যক্তিগত জীবন জালিওয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকান্ড (১৯১৯) তাঁকে একজন শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী কর্মীতে রূপান্তরিত করে। এ সময় ইংরেজ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে আটক করা হয় এবং তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। এ সময়টিতে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ সংস্কৃতে অনুবাদ করেন। পালি ও সিংহল ভাষা শিখে তিনি মূল বৌদ্ধ গ্রন্থগুলো পড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি বৌদ্ধ ধর্ম দ্বারা আকৃষ্ট হন এবং নিজ নাম পরিবর্তন করে রাখেন রাহুল (বুদ্ধের পুত্রের নামানুসারে) সাংকৃত্যায়ন (আত্তীকরণ করে যে)।, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি বিহারে চলে যান এবং ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ-এর সাথে কাজ করা শুরু করেন। তিনি গান্ধিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং এসময় তিনি গান্ধীজী প্রণীত কর্মসূচীতে যোগদান করেন। যদিও তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো না, তবুও তার অসাধারণ পান্ডিত্যের জন্য রাশিয়ায় থাকাকালীন লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে শিক্ষকতার অনুরোধ করা হয়। তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন। ভারতে এসে তিনি ডঃ কমলা নামক একজন ভারতীয় নেপালি মহিলা কে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান হয়, কন্যা জয়া ও পুত্র জিৎ। পরে শ্রীলংকায় (তৎকালীন সিংহল) বিদ্যালঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দার্জিলিংয়ে, ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল তারিখে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]