হয়তোবা আজ আসবে (হার্ডকভার)

মেয়েটার স্যাঁতসেঁতে, সে মলিন কুর্তার আধটু, একটু ছেঁড়া দিয়ে উঁকি দিলো তার জখম হওয়া দৃষ্টিনন্দন শরীর! আর প্রলুব্ধকর স্তনদুটো! আবার কোথাও কোথাও কুর্তাটা এঁকেবেঁকে ছিড়া! যেন এখান দিয়েই বয়ে গেল হৃদয়ক্ষরণের, রক্তক্ষরণের নদী, অথচ এটির দিকে তৃষ্ণার্ত নজর পড়ে আছে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড়ো অভিশাপটির, এটির দিকে অধীর, উৎসুক হয়ে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো লোভীটি! যে লোভী কখনো তার কর্ম দেখেন না, কখনো তার পেশা দেখেন না, কখনো তার অবস্থান দেখেন না! সে যেখানেই থাকুক, যে অবস্থাই থাকুক, যে ব্যস্ততাই থাকুক, সে তার লোভকে ছুঁইবে! জ্ঞান ফিরে নিশী দেখল, ডাক্তার নিশীর স্তন দুটোর প্রতি সত্যি লোভ সামলাতে পারলেন না! আচ্ছা, লোভীটা কী দেখল না, অদ্বিতীয়, চমৎকার শরীরটা যে পরাস্ত শরীর? তার চামড়া ভেতর যে বিপর্যস্ত হলো? আকর্ষণীয় স্তনদুটোর মাংশপেশীর ভেতর যে থ্যাঁতলা হয়ে রইল? ব্যত্তা হয়ে রইল? জবুথবু হয়ে রইল? সে মহামানব এসব দেখল না। সে, নিশীর স্তনদুটো মণিমুক্তার মতো নাড়াচাড়া করছেন! ছেঁকে দেখছেন! মেয়েটি নিরাকার হয়ে তাকিয়ে রইল।