তারেক রহমানের নিষিদ্ধ ভাষণ (হার্ডকভার)

গর্জায় শোষিতের খুনের স্রোতস্বিনী গণতন্ত্র আর স্বাধীনতার প্রতি ভালোবাসার এক মরমীগাঁথায় লেখা হয় বিপ্লব- কণ্ঠের উত্তাপে রাষ্ট্র রাজনীতির সাতকাহন সুদীর্ঘ টেমসের শরীর বেয়ে ইথারে ভেসে আসে পৌরবময় এক গণ-অভ্যুত্থানের বার্তা। দেড় দশকের স্বৈরশাসন আর আয়নাঘরের অন্ধকারের ইতি টেনে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ভারতে পালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা। স্বৈরিণী হাসিনার অপশাসনের দহনকালে গণ-মানুষের বিশ্বাস ছুঁয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ইশতেহারে শৃঙ্খল মুক্তির পান গেয়েছেন লন্ডনে নির্বাসিত জীবনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ৫৩ বছরের বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে ভাদ্র মাসের রঙ বদলের খেলা দৃশ্যমান। মানুষের মানচিত্রে এই পরিবর্তনের খেলায় পদে পদে হোঁচট খাওয়া মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে না পারায় রাজনীতিকরা কেউ হয়েছেন নন্দিত কেউবা নিন্দিত।
ফ্যাসিবাদের আজ্ঞাবহ আদালত ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতি প্রকাশ এবং প্রচার নিষিদ্ধ করে। তবে তিনি আট হাজার মাইল দূরবর্তী টেমসের শহর থেকে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার স্বপ্নকে দেখেছেন
ফিনিক্স পাখির চোখে। বক্তব্য নিষিদ্ধের হবার সময়টিতে নীরব না থেকে স্বাধীনতাপ্রিয় বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন তারেক রহমান। মানুষের কথাগুলো স্বৈরাচারের কানে বিদ্ধ করতে প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
তারেক রহমানের বক্তব্যে ধ্বণিত হয়েছিলো স্বাধীনতার ঘোষকের স্বনির্ভর বাংলাদেশের বয়ান, গণ-মানুষের ইশতেহারের বাংলাদেশ পুনরুদ্ধার, মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন সংগ্রামী গাঁথা, শোষিত মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ নির্দেশনা আর তরুণ প্রজন্মের প্রতি গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা রক্ষার আহবান। দেশের গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ সময়ের ৩৬টি নির্বাচিত বক্তব্য নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হচ্ছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের উদ্যোগে প্রকাশিত বইটির নাম 'তারেক রহমানের নিষিদ্ধ ভাষণ'। সম্পাদনা করেছেন লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক সালেহ শিবলী। বইটি হতে পারে ইতিহাসের এক অনন্য দলিল।