নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি (পেপারব্যাক)
নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি (পেপারব্যাক)
৳ ৪০০   ৳ ৩৪০
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত  ছাড়

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

কবি কাজী নজরুলের একটা বাণী দিয়ে শুরু করি। ‘বিশে^র যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।’ এ বাণীতে নারী অর্ধেক অবস্থানে থাকলেও নারীকে আসলে অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ যুগে নারী অনেক সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। যারা কর্মজীবী তাদের বাইরের কাজ, ঘরের কাজ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। সন্তান ধারণ, সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নতুন দায়িত্ব পালন, মাতৃদুগ্ধপান করানো, লালন-পালন, সন্তানের লেখাপড়া ছাড়াও সাংসারিক বাজারঘাট, এমনকি পারিবারিক বন্ধনেও নারীকে সব সময় এগিয়ে থাকতে হয়। একজন নারীর বিবাহিত জীবন অর্থ, আরেকটা নতুন জীবনের অধ্যায় শুরু। সংসারজীবনে প্রবেশের পর একজন নারীর অনেক দায়িত্ব। নতুন আরেকটি পারিবারে এসে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলা, পারিবারের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এত সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারী আসলে নিজের প্রতি কতটুকু যতœ নেওয়ার সুযোগ পান সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন! এ ক্ষেত্রে যারা যত বেশি দায়িত্ববান, সাংসারিক তারা দেখা যায় নিজের প্রতি অনেকটা উদাসীন হয়ে থাকেন। আজকের যুগে এই উদাসীনতা নারীর মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতায় নানা ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিভিন্ন কারণে খুব সহজেই একজন নারী অপুষ্টি ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যায়ও আক্রান্ত হতে পারেন। নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি একটি বড় সচেতনতার বিষয়। একজন সুস্থ মা-ই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারেন। মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টিই সবচেয়ে দরকার একটা সুস্থ আগামী, সুস্থ প্রজন্মের জন্য। অনেক নারীই পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছেন না। রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও তৈরি হচ্ছে না। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি পর্যায়ে চলে গেছে। জানতে হবে কীভবে নারী স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায়। জানতে হবে কোন খাবারে কোন স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। বয়ঃসন্ধিতে কী প্রয়োজন। প্রবীণ নারীদের নীরোগ থাকতে কী প্রয়োজন। এমনকি জীবনের ধাপে ধাপে নারীর স্বাস্থ্যের পরিবর্তন কী জানার জন্য নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এগিয়ে না আসতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠবে। পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও এ বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। ‘নারী’ শব্দটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী-মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেখানে ‘মেয়ে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় স্ত্রী-শিশু বা কিশোরীর ক্ষেত্রে। ¬একজন মহিলা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী। মহিলা/নারী শব্দটি মেয়েও বোঝায়। বয়সভেদে নারীজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন কন্যা, মেয়ে, কিশোরী, স্ত্রী, মা। এককথায় যাকে কন্যা-জায়া-জননী নামে অভিহিত করা হয়। নারীজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে হরমোনের পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টির তারতম্য রয়েছে। বিশেষ করে কৈশোরে, গর্ভাবস্থায়, স্তন্যদানকালে এবং মেনোপজের পর। মেডিক্যাল সায়েন্সে নারীকে বলা হয় যার দুটি এক্স (ীী) ক্রমোজম থাকে এবং ঋতুচক্র শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত যে সন্তান ধারণ করতে সক্ষম, সে-ই নারী। এ বইটিতে নারীর বিভিন্ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যগত কোন পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন, কীভাবে পুষ্টি পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একজন নারী বিভিন্ন পর্যায়ে সঠিক পুষ্টি কীভাবে গ্রহণ করবেন এবং সুস্থতা বজায় রাখতে কী করণীয় তা বিশদভাবে রয়েছে। নারীর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে তাদের প্রতি যতœশীল হওয়া প্রয়োজন। নারীর স্বাস্থ্য রক্ষায় সামাজিক দায়বদ্ধতাও কম নয়। পরিবার, কর্মক্ষেত্রে, সমাজ, সর্বোপরি রাষ্ট্রীয়ভাবেই নারীর প্রতি সহনশীলতা প্রয়োজন। সৈয়দা শারমিন আক্তার প্রিন্সিপাল নিউট্রিশনিষ্ট, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার, রহভড়@ফরবঃপড়ঁহংবষরহমপবহঃৎব.পড়স

Title : নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি
Author : সৈয়দা শারমিন আক্তার
Publisher : ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশন্স
ISBN : 9789848071496
Edition : 1st Published, 2023
Number of Pages : 128
Country : Bangladesh
Language : Bengali

সৈয়দা শারমিন আক্তার। একটি প্রতিষ্ঠান। সাফল্যের সঙ্গেই দীর্ঘ ২৩ বছর যাবৎ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তারকে জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে অন্য আরেকটি নাম ‘ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার’। তাঁর কর্মজীবন শুরু আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) থেকে। তিনি স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে শুরু করেন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন গবেষণামুলক কাজ। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ে তাঁর রিসার্চ দেশি-বিদেশি জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে। এরপর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০০৪ সালে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবায় ভিন্ন ধারার প্রতিষ্ঠান ‘ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান পুষ্টিবিদ ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নানা প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দিয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে ব্যাপক সাড়া না পেলেও তিনি থেমে যাননি। বিভিন্ন ফ্রি মটিভেশন প্রোগ্রাম, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে তিনি সবসময় মানুষের বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য রক্ষায় পুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কোনো ধরণের সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অনেকেই তাঁর পরামর্শে সুস্থ আছেন। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, লিভার, আর্থ্রাইটিস, ওজন সমস্যা, বয়ঃসন্ধিক্ষণে পুষ্টি, ক্রিয়েটিনিন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আজ বহু মানুষ এর সুফল ভোগ করছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষকে নিরোগ, তরুণ ও সুস্থ রাখতে এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে তাঁর অগ্রণী ভ‚মিকা সর্বজনবিদিত।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]