
৳ ১৫০০ ৳ ৯০০
|
৪০% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১১৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৬৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত ছাড়





"শাপলা ট্রাজেডি" ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাতে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সমাবেশে ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ ঘটনা, যা বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতির ইতিহাসে গভীর ছাপ রেখে গেছে। এই ঘটনাকে অনেকেই “ফ্যা*সিস্ট আওয়ামী দুঃসাশনের এক জ্বলন্ত উদাহরণ” হিসেবে চিহ্নিত করেন। নিচে হেফাজতের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি চিত্র তুলে ধরা হলো :
শাপলা ট্রাজেডি: হেফাজতের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফ্যা*সিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের নৃশংস অভিযান ২০১৩ সালের ৫ মে। লাখো আলেম-উলামা, তৌহিদী জনতা ঢাকার শাপলা চত্বরে জমায়েত হয়েছিলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের জন্য। তাদের দাবি ছিলো ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তি এবং ইসলামি মূল্যবোধ সংরক্ষণ। কিন্তু গভীর রাতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে, এক নির্মম হ*ত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে।
🔥 বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নির্বিচারে গুলি
রাতের আঁধারে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আধা-সামরিক বাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সম্মিলিতভাবে টিয়ারশেল, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডের মাধ্যমে আক্রমণ চালায় নিরস্ত্র আলেম-উলামা, ছাত্র-জনতার ওপর। চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করা হাজারো মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হ*ত্যা করা হয়।
🩸 নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক, সরকার গোপন করে তথ্য
সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো সামান্য কয়েকজন, অথচ বিভিন্ন নিরপেক্ষ সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে শতাধিক মানুষ শহীদ হন। হেফাজতের দাবী হাজার ছাড়াবে সেই সংখ্যা। সেই রাতেই শহীদদের লাশ গুম করা হয়, হাসপাতালগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া হয়, সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। নিহতদের নাম-পরিচয়, ছবি—সব ছিলো নিষিদ্ধ বিষয়।
📵 মিডিয়া ব্ল্যাকআউট ও সেন্সরশিপ
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম, রাতারাতি সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে। বাস্তবে এটি ছিলো একটি মিডিয়া-ব্ল্যাকআউট হত্যাযজ্ঞ—যার নামই এখন “শাপলা ট্রাজেডি”।
🛑 ফ্যা*সিস্ট আওয়ামী সরকারের ইসলামবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট হয়
এই নৃশংস হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার প্রমাণ করে যে, তারা ইসলাম, ইসলামপন্থীদের এবং ধর্মীয় আন্দোলনের প্রতি কী পরিমাণ বিদ্বেষ পোষণ করে। হেফাজতের শান্তিপূর্ণ দাবিকে সরকার “জঙ্গিবাদ” আখ্যা দিয়ে দমন করে ইসলামী চেতনার কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছে।
উপসংহার
"শাপলা ট্রাজেডি" একটি লৌহকঠিন দুঃশাসনের প্রতীক। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক দল বা ইসলামি সংগঠনের ঘটনা নয়, বরং এটি পুরো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ওপর পরিচালিত এক নিষ্ঠুর হামলার নাম। ইতিহাস কী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে? ৫ ই আগষ্ট ৩৬ জুলাই এর প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ কবে?
Title | : | পঁচাত্তর থেকে শাপলা ১-২ ভলিউম |
Author | : | মনযূর আহমাদ |
Publisher | : | কাতেবিন প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849494416 |
Edition | : | 1st Published, 2023 |
Number of Pages | : | 944 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে রহমতের সম্পাদক ছিলেন প্রবল জীবনদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ মুহতারাম মনযূর আহমাদ। মনযূর আহমাদ একজন প্রাজ্ঞ ও প্রথিতযশা সম্পাদক। জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি সম্পাদনার কলম দিয়ে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করেছেন। ১৯৯১ থেকে এক দশক জাগো মুজাহিদ-এর নির্বাহী সম্পাদক, দুই হাজারের ডিসেম্বর থেকে দেড় দশক রহমত-এর সম্পাদক—সব মিলিয়ে ১৯৮৫ থেকে শুরু হয়ে চলমান পঁয়ত্রিশ বছরের কর্মজীবনের পঁচিশটি বছরই কাটিয়েছেন এই ডেস্কে! মনযূর আহমাদের জীবন শুরু হয়েছিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানায়, নলবুনিয়ার বৌডুবীতে ১৯৬৫ সালে। শৈশব-কৈশোরে পড়াশোনা করেছেন বৌডুবীতে এবং তারপর পার্শ্ববর্তী বাদুরা মাদরাসায়। পরিণত পড়াশোনার জন্য গিয়েছেন গোপালগঞ্জের কাজুলিয়া এবং গওহরডাঙ্গা মাদরাসায়। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় সমাপ্তি দিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসায়, ১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে। ১৯৮৫ থেকেই শুরু হয় তার জীবন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ঢাকায় তার প্রথম আগমন ঢালকানগরের ছাপড়া মসজিদে। ভাগ্য পরীক্ষার প্রথমপর্বে এখানে তার হাত ধরেন অভিন্ন পথের সহযাত্রী মরহুম মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন। এখান থেকে তিনি বাংলাদেশের ইসলামি আধুনিক রেনেসাঁর অগ্রদূত মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের একান্ত সান্নিধ্য অর্জন করেন এবং যুগের কিংবদন্তি অধ্যাপক আখতার ফারূকের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে কলমচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সেই কলম শানিত হয় অধ্যাপক আখতার ফারূকের সুদীর্ঘ সংস্পর্শে। তার লেখালেখির প্রথম কীর্তি বিখ্যাত তাফসিরে ইবনে কাসিরের আংশিক অনুবাদ। এরপর চলতে থাকে কলম, অনবরত, আজ পর্যন্ত। তার ইদানীংকালের কীর্তি হল বিখ্যাত হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ রহমাতুল্লাহিল ওয়াসিয়াহ-এর অনুবাদ। এর মাঝে তিনি লিখেছেন অনেক—অনুবাদ, ইতিহাস, প্রবন্ধ। সেসবের কিছু প্রকাশিত, কিছু প্রকাশিতব্য। কিছু নামে, কিছু বেনামে। তবে এসব কীর্তির চেয়ে তার বড়ো পরিচয়—তিনি একজন সফল সম্পাদক। অন্তরালোকসম্পন্ন সম্পাদক। শুধু পত্রিকারই নন, প্রতিষ্ঠিত অনেক তরুণ লেখকের জীবনেরও সম্পাদক তিনি। সেক্ষেত্রে একজন পিতৃসত্তাবান সম্পাদক হিসেবেই তিনি তাঁর পরিচয় উজ্জ্বল করেছেন। যার স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত সকল লেখক তাদের নৈকষ্য আড্ডায় খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে গর্বভরেই দিয়ে থাকেন। মনযূর আহমাদকে সর্ববিচারে বলা যায় চেতনা ও শিল্পমগ্ন তারুণ্যের মুখপাত্র। জীবনের নানা ব্যস্ততার ফাঁকেও তিনি একজন মজলিশি মানুষ। তার মজলিশি স্বভাবে রয়েছে রসালাপ, রয়েছে তিক্ত তুখোড় বাস্তবতায় অনায়াস সমালোচনার শিল্প। জীবনের বেলাভূমিতে তিনি এখন বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতার পটভূমিতে দাঁড়িয়ে এক ধরনের অতিন্দ্রিয় সময় কাটাচ্ছেন—যা তার কাছে গেলে, একটু বসলে, খানিক আলাপ করলে বুঝা যায়। আল্লাহ তাকে কবুল করুন। তার সকল কীর্তি ও প্রচেষ্টা কবুল করুন। জীবনকে তার জন্য সহজ করে দিন।
If you found any incorrect information please report us