আখতার-উল-আলম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত তাজনগর গ্রামের সম্রান্ত শাহ পরিবারের সন্তান আখতার-উল-আলম, জন্ম ১৯৩৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী। পিতা শাহ আবুল কশেম, মাতা রমিছা খাতুন। জনাব আলম বলদিপুকুর প্রাইমারী স্কুল, রাণীপুকুর হাইস্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ ও ঢাকা সরকারী কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসাবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। জনাব আলমের সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা ৬০ দশকের শুরুতে বাংলাদেশের প্রাচীনতম দৈনিক আজাদে। তখন দৈনিক আজাদ গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স-এর সুপ্রসিদ্ধ মাসিক পত্রিকা মােহাম্মদীর তিনি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। একই সঙ্গে মাওলানা মােহাম্মদ আকরম খার তত্ত্বাবধানে তিনি দৈনিক আজাদের সম্পাদকীয় এবং কলাম লেখকের দায়িত্ব পালন করেন। মাঝখানে তিনি তাঁর সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম ওস্তাদ মরহুম মুজিবুর রহমান খার অনুরােধে দৈনিক পয়গাম (অধুনালুপ্ত)-এর সহকারী সম্পাদক পদে যােগদান করেন। কিন্তু মাতামতের মিল না হওয়ায় তিনি সহকারী সম্পাদক ও কলামিষ্ট হিসাবে পুনরায় দৈনিক আজাদে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মিলিটারী ক্র্যাক-ডাউনের পর তিনিই প্রথম সাংবাদিক যাকে পাকিস্তানী আর্মিরা অস্ত্রের মুখে দৈনিক আজাদ থেকে ধরে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে রাখে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জনাব আলম দৈনিক ইত্তেফাকে সহকারী সম্পাদক হিসাবে যােগদান করেন। অল্পকালের মধ্যে ইত্তেফাকে তার স্থান-কাল-পাত্র’ কলামটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। ৭০ ও ৮০ দশকে লুব্ধকএর এই কলামটি ছিল এদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কলাম । ১৯৮৫ সালে জনাব আলম ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিযুক্ত হন। এই সময়ে ইত্তেফাক দেশে শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় পরিণত হয়। ১৯৯২ সালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের জন্য জনাব আলম বাহরাইন গমন করেন এবং ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যােগ্যতার সাথে এই দায়িত্ব পালন। করেন। ইতিমধ্যে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে। তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ত্যাগ করে পুনরায় সংবাদিকতা পেশায় ফিরে আসেন এবং দৈনিক দিনকালের সম্পাদক হিসাবে কাজ শুরু করেন। পরে ২০০১ সালের ১লা জানুয়ারী উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি পুনরায় দৈনিক ইত্তেফাকে যােগদান করেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও আখতার-উল্-আলম এক সময়ে নিয়মিত কবিতা, গল্প, উপন্যাস লিখতেন। সাংবাদিকতা জীবনের ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর
৳ 0