মাওলানা মুহাম্মদ আসলাম শেখোপুরী রহিমাহুল্লাহ। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত শেখোপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার সম্মানিত পিতার নাম মুহাম্মদ হুসাইন। বংশগতভাবে তারা ছিলেন জমিদার। মাওলানা শেখোপুরী রহ. যখন মাত্র তিন বছরের শিশু, তখন পক্ষাঘাতের শিকার হন। সেই থেকে তিনি সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান এবং হুইলচেয়ারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। শিশুকাল থেকেই তার মধ্যে পড়াশোনার অদম্য স্পৃহা লক্ষ করা গেছে। প্রতিমুহূর্তে তিনি পড়ার জন্য অস্থির থাকতেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে তুখোর মেধা ও স্মৃতিশক্তি দান করেছিলেন। তিনি একবার যা পাঠ করতেন, তা তার স্মৃতির অংশ হয়ে যেত। মাওলানা শেখোপুরীর বয়স যখন ৯ বছর এবং যখন তিনি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েন, তখন গ্রামের ইমাম সাহেবের পরামর্শে বাবা তাকে হিফজ পড়ানোর জন্য সম্মত হন। মাত্র ১১ মাসে তিনি পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে গ্রামবাসী ও আত্মীয়স্বজনকে অবাক করে দেন । নিজ গ্রামেই দরসে নেজামির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর তিনি মাওলানা সারফারাজ খান সফদার রহ. এর জামিয়া নুসরাতুল উলুমে ভর্তি হন। সেখান থেকে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া করাচিতে চলে যান। সেখানে তিনি মাওলানা ইউসুফ বানুরি, মাওলানা ওয়ালি হাসান টুঙ্কি, মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ লুধিয়ানবির মতো বিশ্বখ্যাত মনীষী আলেমদের সান্নিধ্য লাভ করেন । জামিয়া বানুরিয়া আল-আলামিয়্যায় মাওলানা শেখোপুরী দীনী ইলম শিক্ষাদানের মহান খেদমতে ব্ৰতী হন। জামিয়া বানুরিয়ার পর তিনি জামিয়াতুর রশিদ আহসানাবাদে তাফসির ও হাদিসের উসতাদ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সাত বছর এই প্রতিষ্ঠানে তার দীনী খেদমত আনজাম দেওয়ার সুযোগ হয় ৷ আল্লাহ তায়ালা মাওলানাকে অধ্যয়নের রুচিবোধ দান করেছিলেন। পাশাপাশি তাকে দিয়েছিলেন পাঠদানের যোগ্যতা এবং মানুষকে বোঝানোর এক আশ্চর্য ক্ষমতা । তার আলোচনা হতো অত্যন্ত চমৎকার ও হৃদয়গ্রাহী। অল্পসময়ের ব্যবধানেই মানুষের মধ্যে তার আলোচনার ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে তিনি কোরআনের দরস দিতে শুরু করেন । অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তার কোরআনের দরসগুলোর এত অধিক গ্রহণযোগ্যতা দান করেন যে, পৃথিবীব্যাপী অসংখ্য মানুষ তার দরস শোনার অপেক্ষায় থাকত। তিনি সেই আলোচনা বিশ পারা পর্যন্ত সম্পন্ন করে যেতে পেরেছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে প্রদত্ত তার কোরআন ও হাদিসের দরসের
৳ 0