এম. দিলদার উদ্দিন

এম. দিলদার উদ্দিন

লেখক পরিচিতি
এম দিলদার উদ্দিন পেশায় একজন সাংবাদিক ও সম্পাদক। জন্ম ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলার হাতিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের গুল্যাখালী গ্রামের ছৈয়দিয়া এলাকায় । তাঁর পিতার নাম সামছুল হুদা মিয়া ও মাতার নাম জেবুন্নেছা।
মাধ্যমিক শিক্ষায় তিনি প্রথমে ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মফিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পরে এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে এসএসসি ও হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে এইচএসসি পাস করে নোয়াখালী সরকারি কলেজে বিএসসি-তে ভর্তি হন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বিএসসি পরীক্ষা দিয়েই তিনি সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। ওই সময় তিনি নোয়াখালীর স্থানীয় পত্রিকা জাতীয় নিশান ও অবয়ব পত্রিকায় হাতিয়া থেকে নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ করতেন। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি দ্বীপচিত্র নামে হাতিয়া থেকে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। অনিয়মিতভাবে পত্রিকাটি দুই বছর সম্পাদনার পর তিনি ১৯৮৬ সালের শেষের দিকে ঢাকায় গিয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ও ঢাকা প্রি-ক্যাডেট স্কুল (ফার্মগেট)এ শিক্ষকতায় যোগ দেন। দুই বছর শিক্ষকতার পর তিনি নাড়ী ও পেশার টানে শিক্ষকতা ছেড়ে হাতিয়ায় ফিরে এসে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ও নোয়াখালীর একাধিক পত্রিকায় হাতিয়া প্রতিনিধি হিসেবে আবার সাংবাদিকতা শুরু করেন। ওইসব পত্রিকায় প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি পরে তিনি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে হাতিয়া কণ্ঠ নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকার সরকারি অনুমোদন নিয়ে হাতিয়া থেকে নিয়মিত প্রকাশ করেন যা এখনও অব্যাহত রয়েছে ।
তিনি ২০১০ খ্রিস্টাব্দে পরিবার নিয়ে নোয়াখালী জেলা শহরে সেটেল্ড হন । জেলা শহরে অবস্থান করেও তিনি হাতিয়ার সংবাদগুলোর গুরুত্ব দিয়ে হাতিয়া কণ্ঠ ছেপে হাতিয়ার পাঠকদের কাছে পৌঁছান। ২০১৪ খিস্টাব্দের শুরু থেকে তাঁর সম্পাদিত হাতিয়া কণ্ঠকে কেবল হাতিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রযুক্তির বিকাশের বদৌলতে তিনি পত্রিকাটি হার্ডকপির পাশাপাশি www.dailyhatiakantha.com নামে অনলাইনে দৈনিক নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছেন । তিনি ন্যায় প্রতিষ্ঠায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং মানুষের কল্যাণেই সাংবাদিকতা করেছেন আজীবন। অন্য পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ থাকা সত্বেও তিনি এ পেশা ছাড়েন নি। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত প্রতিনিয়ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখনির মাধ্যমে প্রতিবাদ করে গেছেন নিরন্তর।
সাংবাদিক দিলদার তাঁর সাংবাদিকতার জীবনে ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার, পিআইবি, গণস্বাক্ষরতা অভিযানসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মেয়াদে সাংবাদিকতা বিষয়ে অসংখ্য কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন। বিশেষ করে ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টারের কল্যাণে ঢাকায় ১৯৯৬ খ্রি: সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনা শীর্ষক ১৫ দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে তিনি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান প্রফেসর সাখাওয়াত হোসেন, বিবিসির সাংবাদিক আতাউস সামাদ, প্রখ্যাত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক পরিবেশ সাংবাদিক মাহফুজ উল্যাহ, বিটিভি’র আইন-আদালতের উপস্থাপক প্রখ্যাত আইনজীবী গাজী সামছুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞানী আইনুন নিশাতসহ বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তির সান্নিধ্যে সাংবাদিকতার উপর জ্ঞানগর্ভ প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
একজন ইউএনও-র দুর্নীতির ধারাবাহিক চিত্র তুলে ধরে তিনি ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আব্দুর রব সাহেবের হাত থেকে সাহসী সাংবাদিকতায় সন্মাননা পেয়েছেন। এছাড়া তিনি সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান স্বরূপ পূর্বাপর পদক , অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’২০১০ পেয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন।
মহামারী করোনাকালীন সময়ে সবাই যখন গৃহবন্দী সে সময় তিনি গৃহে অলস সময় না কাটিয়ে গল্প লেখায় মনোযোগ দেন। এ সময়ে তিনি প্রায় নয়টি গল্প ও একটি রম্য রচনা লিখেছেন। এর অধিকাংশই রোমান্টিক প্রেমের গল্প। এগুলো হলো – করোনা ভাইরাস, নলচিরা ঘাটের সেই মেয়েটি, যাত্রা পথের সঙ্গী, মাটির ঘর, ভাঙ্গা ঘর, গোধূলী লগ্নে প্রেম, অভিমানী মেয়ে, কাকের সাবান চুরি, কনের পলায়ন ও সাত পাঁচ। প্রতিটি গল্প তিনি এখন পর্যায়ক্রমে মুদ্রণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের পিতা । তাঁর সহধর্মিনী সালমা ইমাম (শিল্পী) নোয়াখালী সদরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

এম. দিলদার উদ্দিন এর বই সমূহ

Showing 1 to 1 of 1

View

Sort icon