চলতে পথে যেটুক দেখা (হার্ডকভার)

কাহিনী সকল সময়েই মনে নাড়া দেয়। আর সেই কাহিনী যখন ভ্রমণ বিষয়ে, খুব গভীর পর্যবেক্ষণে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণাত্মক এবং সুখপাঠ্য হয় তখন একনিশ্বাসে সেই কাহিনীর স্বাদ আস্বাদনে পাওয়া যায় পরম তৃপ্তি। আর, নিজে ভ্রমণ না করেও ভ্রমণানন্দে হওয়া যায় উজ্জীবিত। চলতে পথে যেটুক দেখা উত্তর-পূর্ব ভারত ভ্রমণে চলার পথে ছোটবড় প্রায় প্রতিটি দর্শনীয়, উপভোগ্য বিষয় যা সামনে এসেছে নিজে যেভাবে উপভোগ করেছেন এর প্রায় সবটুকুই অত্যন্ত সাবলীল প্রাঞ্জল ভাষায় সহজবোধ্য নিগূঢ় নিষ্ঠায় তুলে ধরেছেন কবি রোকেস লেইস। কবি রোকেস লেইস পঞ্চাশোর্ধকাল যাবত লেখালেখিতে সম্পৃক্ত। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকায় লিখেছেন, লিখছেন। আঁকাবাকা পাহাড়ি চড়াই উত্তাইয়ের পথ বেয়ে দার্জিলিং পৌঁছানো, দার্জিলিং-এ বৃষ্টিতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, কুয়াশা কেটে গেলে মায়ানীল নীলাকাশ, টাইগার হিলের চূড়ার পাশ কাটিয়ে পুবাকাশে সোনালি আভার বিচ্ছুরণে সূর্যের উঠে আসা। কয়েক শতকের মানব সভ্যতার বিকাশে ভিন্ন ভিন্ন জাতি-ধর্মের মানুষের গড়া প্রতিটি টেম্পল, প্যাগোডা, মন্দির, মসজিদ শুধুই নয়, ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সহাবস্থানের চিত্র উঠে এসেছে সাবলীল। কুচবিহারের হেমকুমারী, হলদিবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং থেকে গুয়াহাটি, শিলং, চেরাপুঞ্জি প্রতিটি শহরের বসতি, প্রকৃতির ঐতিহাসিক বর্ণনায় লেখাটি ঋদ্ধ। বিশেষ করে দর্শনীয় বিষয়সমূহের মনছোঁয়া বর্ণনার সাথে ক্যাবল কার্ট, ঝর্ণা, গুহা, রুটব্রীজ ইত্যাদির রঙিন ছবি বইটিকে করেছে মনোগ্রাহী এবং অবশ্যই সংগ্রহযোগ্য।